A nice story from big boss
৪ সদস্যের সর্বশেষ সদস্য হিসেবে নীল
জন্ম নেয় একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত
পরিবারে । একটি শান্ত বাচ্চার মধ্যে যে
বৈশিষ্ট্য গুলা থাকে নীলের মধ্যেও ঠিক
সেই বৈশিষ্ট্য গুলো বিদ্যমান ছিলো ।
নীলের যখন ৫ বছর বয়স তখন সে সব সময় তার
মা ও ভাইয়ার কাছে থাকত , কিন্তু এই
বয়সের বচ্চারা সাধারণত খেলাধুলা করতে
ভালবাসে, অথছো নীল খেলাধুলা করত
না সারাক্ষণ মায়ের পাশে বসে থাকত, নীল
তার ভাইয়া কে অনেক বেশি ভালবাসত ।
মায়ের পাশে বসে বসে শুধু এইটাই ভাবত
কখন তার ভাইয়া টা স্কুল থেকে আসবে ,
স্কুল থেকে আসলেই তো তাকে চকলেট
দিবে, যদি বিকেল টা গোধুলী বিকেল হয় তাহলে
ভাইয়া তার হাত ধরে রাস্থায় হাটতে বের
হবে । খুব সুন্দর ভাবেই কেটে যায় নীলের জীবনের
৬ টি বছর ।
.
যখন ৬ বছর উত্তীর্ণ করে নীল স্কুল
লাইফে পা রাখে ঠিক তখনি শুরু হয়ে যায়
তার জীবনের শেষ ঘন্টা গুলি । জীবনের
প্রথম সে স্কুলে যাচ্ছে তার ভাইয়ার হাত
ধরে, স্কুলের আশে-পাশে যেতেই সে
শুনতে পায় সেই অসহ্যকর শব্দটি , যে শব্দের
জন্য সে খেলাধুলা করত না , যে শব্দের
জন্য সে কোনো অচেনা বাচ্চা
ছেলেদের সাথে মিশত না সেই শব্দের
দিকেই সে এগিয়ে যাচ্ছে , এইটা বুঝতে
পেরে সে অস্বঃস্থি বোধ করতে থাকে
। এবং তখন তার ভাইয়ার মুখের দিকে
বারবার তাকাচ্ছিলো আর তার ভাইয়া ও
তার মুখের দিকে তাকিয়ে মিস্টি একটি
হাসি দিয়েছিল । নীল স্কুলে পৌছে
যায় এবং ক্লাস রুমের দিকে এগুতে থাকে,
ক্লাসে গিয়ে দেখতে পায় নীলের
মতো আরো বাচ্চা ছেলে মেয়ে আছে ,
ওরাও নীলের মতই অস্বঃস্থি বোধ করছে।
.
নীলকে তার ভাইয়া ক্লাসের প্রথম
বেঁঞ্চে বসিয়ে হাসি মুখে চলে যায় , নীল তার ভাইয়ার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কেদে দেয় । আর তখনি নীল বুঝতে পারে তার ভাইয়া আম্মু
ছাড়া ও যে তাকে অনেক টা পথ পারি দিতে হবে।
.
কিছুক্ষণ পরে একজন মেডাম আসলেন
হাতে বেৎ নিয়ে , সবার রোল নম্বর
জানিয়ে দিলেন এবং বল্লেন আজ প্রথম
দিন তাই তোমাদের এখনি ছুটি । এই কথা
বলে মেডাম ক্লাস থেকে চলে গেলেন।
.
নীল প্রায় ১০ মিনিট ক্লাসে বসেছিল
এবং
অপেক্ষা করছিল তার ভাইয়ার জন্য কিন্তু
তার ভাইয়া আসেনি এবং এই ১০ মিনিটের
মধ্যেই ক্লাসের সব ছেলে-মেয়েরা
চলে যায়।
নীল আর অপেক্ষা না করে বাড়ির দিকে
পা বাড়ায় , আসলে সে বাড়ির দিকে পা
বাড়ায়নি , মৃত্যুর দিকে পা বাড়াচ্ছিল ।
.
স্কুল টা বড় রাস্থার পাশেই ছিল । স্কুল
থেকে নীলের বাড়ি যেতে ৬-৭
মিনিট লাগে , নীলের ভাইয়া নীলকে
নিয়ে যে রাস্থা দিয়ে এসেছিল সেই
রাস্থা ধরেই হাটতে থাকে নীল, ৬-৭
মিনিট হাটার পর বড় রাস্থার ওপাশে
দেখতে পায় তার বাড়ি। নীল আগে
কখনো একা বড়রাস্থা পার হয়নি , তাই
কোনোদিকে না থাকিয়েই
রাস্তার ওপাশে যাচ্ছিল , কিন্তু
রাস্থাটা যে ছিল সূদীর্ঘ , অন্য সবাই
পারলেও যে নীলের ক্ষমতা ছিল না এই
সূদীর্ঘ রাস্থাটির ওপাশে যাওয়ার ,
মাঝখানে যেতেই একটা 'সি'এন'জি'
এসে নীলকে ধাক্কা দিয়ে পৌছে
দিল সেই অজানা অন্ধকার জগতে ,
যেখানে পাবেনা তার আম্মুকে
পাবেনা তার আদরের ভাইয়াটাকে ।
.
নীলকে ধাক্কা দিয়ে সি'এন'জি টা চলে
যায় ।
নীল এভাবেই পড়ে থাকে বড় রাস্থায় ,
নীলের পাশ দিয়ে শত শত গাড়ি যাচ্ছে ,
নীলের মৃতদেহ দেখে ও একটি গাড়ি
থামেনি সব গাড়ি আপন গতি তে চলতে
থাকে ।
.
কিছুক্ষণ পরে নীলের ভাইয়া বাড়ি
থেকে বের হয়
তার আদরের ডিব্বা ভাইটাকে স্কুল
থেকে আনার জন্য , কিন্তু তাকে স্কুল
পর্যন্ত যেতে হয়নি বাড়ির সামনেই তার
ভাইটা কে পেয়ে যায় এবং শুধু একবার
আম্মু }}}}}} বলে চেচিয়ে উটে এবং
সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে যায় ।
ডাকটি শুনতে পেয়ে নীলের আম্মু
রান্নাঘর থেকে বড়রাস্থার দিকে
এগিয়ে আসেন এবং এই মর্মাহত দুর্ঘটনা
টি দেখতে পান , নীলের আম্মু কাদতে
পারেন নি , শুধু বড় রাস্থা থেকে
আদরের নীল কে কোলে করে
বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং নীলকে
বোকে জরিয়ে ধরে রেখে পাথরের
মতো শক্ত হয়ে যান । বেশিক্ষণ পাথর হয়ে
থাকতে পারেননি আকাশ ভেঁঙে যেমন
বৃষ্টি নামে, নীলের আম্মুর ও কলিজা
ফেঁটে হাওমাও করে কান্না নামে ।
.
বি:দ্র: ছোট বাচ্চাদের প্রথম প্রথম স্কুলে
একা যেতে দিবেন না , নিজে নিয়ে
যাবেন এবং ছুটি হওয়ার সাথে সাথে
বাসায় নিয়ে আসবেন । আপনার সামান্ন
অবহেলা একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার সৃষ্টি
করতে পারে।
তাই সাবধান , এখনি সচেতন হন নইলে
আপনার আদরের ডিব্বা টা ও নীল এর মতো
হারিয়ে যাবে ।
জন্ম নেয় একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত
পরিবারে । একটি শান্ত বাচ্চার মধ্যে যে
বৈশিষ্ট্য গুলা থাকে নীলের মধ্যেও ঠিক
সেই বৈশিষ্ট্য গুলো বিদ্যমান ছিলো ।
নীলের যখন ৫ বছর বয়স তখন সে সব সময় তার
মা ও ভাইয়ার কাছে থাকত , কিন্তু এই
বয়সের বচ্চারা সাধারণত খেলাধুলা করতে
ভালবাসে, অথছো নীল খেলাধুলা করত
না সারাক্ষণ মায়ের পাশে বসে থাকত, নীল
তার ভাইয়া কে অনেক বেশি ভালবাসত ।
মায়ের পাশে বসে বসে শুধু এইটাই ভাবত
কখন তার ভাইয়া টা স্কুল থেকে আসবে ,
স্কুল থেকে আসলেই তো তাকে চকলেট
দিবে, যদি বিকেল টা গোধুলী বিকেল হয় তাহলে
ভাইয়া তার হাত ধরে রাস্থায় হাটতে বের
হবে । খুব সুন্দর ভাবেই কেটে যায় নীলের জীবনের
৬ টি বছর ।
.
যখন ৬ বছর উত্তীর্ণ করে নীল স্কুল
লাইফে পা রাখে ঠিক তখনি শুরু হয়ে যায়
তার জীবনের শেষ ঘন্টা গুলি । জীবনের
প্রথম সে স্কুলে যাচ্ছে তার ভাইয়ার হাত
ধরে, স্কুলের আশে-পাশে যেতেই সে
শুনতে পায় সেই অসহ্যকর শব্দটি , যে শব্দের
জন্য সে খেলাধুলা করত না , যে শব্দের
জন্য সে কোনো অচেনা বাচ্চা
ছেলেদের সাথে মিশত না সেই শব্দের
দিকেই সে এগিয়ে যাচ্ছে , এইটা বুঝতে
পেরে সে অস্বঃস্থি বোধ করতে থাকে
। এবং তখন তার ভাইয়ার মুখের দিকে
বারবার তাকাচ্ছিলো আর তার ভাইয়া ও
তার মুখের দিকে তাকিয়ে মিস্টি একটি
হাসি দিয়েছিল । নীল স্কুলে পৌছে
যায় এবং ক্লাস রুমের দিকে এগুতে থাকে,
ক্লাসে গিয়ে দেখতে পায় নীলের
মতো আরো বাচ্চা ছেলে মেয়ে আছে ,
ওরাও নীলের মতই অস্বঃস্থি বোধ করছে।
.
নীলকে তার ভাইয়া ক্লাসের প্রথম
বেঁঞ্চে বসিয়ে হাসি মুখে চলে যায় , নীল তার ভাইয়ার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কেদে দেয় । আর তখনি নীল বুঝতে পারে তার ভাইয়া আম্মু
ছাড়া ও যে তাকে অনেক টা পথ পারি দিতে হবে।
.
কিছুক্ষণ পরে একজন মেডাম আসলেন
হাতে বেৎ নিয়ে , সবার রোল নম্বর
জানিয়ে দিলেন এবং বল্লেন আজ প্রথম
দিন তাই তোমাদের এখনি ছুটি । এই কথা
বলে মেডাম ক্লাস থেকে চলে গেলেন।
.
নীল প্রায় ১০ মিনিট ক্লাসে বসেছিল
এবং
অপেক্ষা করছিল তার ভাইয়ার জন্য কিন্তু
তার ভাইয়া আসেনি এবং এই ১০ মিনিটের
মধ্যেই ক্লাসের সব ছেলে-মেয়েরা
চলে যায়।
নীল আর অপেক্ষা না করে বাড়ির দিকে
পা বাড়ায় , আসলে সে বাড়ির দিকে পা
বাড়ায়নি , মৃত্যুর দিকে পা বাড়াচ্ছিল ।
.
স্কুল টা বড় রাস্থার পাশেই ছিল । স্কুল
থেকে নীলের বাড়ি যেতে ৬-৭
মিনিট লাগে , নীলের ভাইয়া নীলকে
নিয়ে যে রাস্থা দিয়ে এসেছিল সেই
রাস্থা ধরেই হাটতে থাকে নীল, ৬-৭
মিনিট হাটার পর বড় রাস্থার ওপাশে
দেখতে পায় তার বাড়ি। নীল আগে
কখনো একা বড়রাস্থা পার হয়নি , তাই
কোনোদিকে না থাকিয়েই
রাস্তার ওপাশে যাচ্ছিল , কিন্তু
রাস্থাটা যে ছিল সূদীর্ঘ , অন্য সবাই
পারলেও যে নীলের ক্ষমতা ছিল না এই
সূদীর্ঘ রাস্থাটির ওপাশে যাওয়ার ,
মাঝখানে যেতেই একটা 'সি'এন'জি'
এসে নীলকে ধাক্কা দিয়ে পৌছে
দিল সেই অজানা অন্ধকার জগতে ,
যেখানে পাবেনা তার আম্মুকে
পাবেনা তার আদরের ভাইয়াটাকে ।
.
নীলকে ধাক্কা দিয়ে সি'এন'জি টা চলে
যায় ।
নীল এভাবেই পড়ে থাকে বড় রাস্থায় ,
নীলের পাশ দিয়ে শত শত গাড়ি যাচ্ছে ,
নীলের মৃতদেহ দেখে ও একটি গাড়ি
থামেনি সব গাড়ি আপন গতি তে চলতে
থাকে ।
.
কিছুক্ষণ পরে নীলের ভাইয়া বাড়ি
থেকে বের হয়
তার আদরের ডিব্বা ভাইটাকে স্কুল
থেকে আনার জন্য , কিন্তু তাকে স্কুল
পর্যন্ত যেতে হয়নি বাড়ির সামনেই তার
ভাইটা কে পেয়ে যায় এবং শুধু একবার
আম্মু }}}}}} বলে চেচিয়ে উটে এবং
সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে যায় ।
ডাকটি শুনতে পেয়ে নীলের আম্মু
রান্নাঘর থেকে বড়রাস্থার দিকে
এগিয়ে আসেন এবং এই মর্মাহত দুর্ঘটনা
টি দেখতে পান , নীলের আম্মু কাদতে
পারেন নি , শুধু বড় রাস্থা থেকে
আদরের নীল কে কোলে করে
বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং নীলকে
বোকে জরিয়ে ধরে রেখে পাথরের
মতো শক্ত হয়ে যান । বেশিক্ষণ পাথর হয়ে
থাকতে পারেননি আকাশ ভেঁঙে যেমন
বৃষ্টি নামে, নীলের আম্মুর ও কলিজা
ফেঁটে হাওমাও করে কান্না নামে ।
.
বি:দ্র: ছোট বাচ্চাদের প্রথম প্রথম স্কুলে
একা যেতে দিবেন না , নিজে নিয়ে
যাবেন এবং ছুটি হওয়ার সাথে সাথে
বাসায় নিয়ে আসবেন । আপনার সামান্ন
অবহেলা একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার সৃষ্টি
করতে পারে।
তাই সাবধান , এখনি সচেতন হন নইলে
আপনার আদরের ডিব্বা টা ও নীল এর মতো
হারিয়ে যাবে ।