দেশের সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দখল করছে

দেশের সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দখল করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়েছে দলটি। আজ দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ বৃহস্পতিবার বলেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে শাসক দলের লোকেরা তাদের সম্পত্তি দখল করছে। তাদের মেয়েদের ধর্ষণ করছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বলেছে, ফরিদপুরে হিন্দু জমিদারবাড়ির দেয়াল ভেঙে জায়গা দখল করা হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূমি দখল করেছেন। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রচার করা হয়, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্যাতিত হয়। কিন্তু এখন প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপি নয়; আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে হিন্দুদের সম্পত্তি জবরদখল হয়। মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়। বর্তমানেও শাসক দলের লোকদের হাতে বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিদের হাতে তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাদের সম্পত্তি দখল হচ্ছে। মেয়েরাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ড. রিপন বলেন, আপনাদের ঝেড়ে কাশার সময় হয়েছে। ইনিয়ে-বিনিয়ে বা ঘুরিয়ে- পেঁচিয়ে নয়, সরাসরি বলুন শাসক দলের মন্ত্রী-এমপি ও লোকেরা আপনাদের নির্যাতন করছে। সম্পত্তি দখল করছে। মেয়েদের ধর্ষণ করছে। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি পর্যায়ে বৈঠক হয়ে গেল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। কিন্তু ওই বৈঠকে আমাদের দেশের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। বিজিবির ডিজি ওই বৈঠকে ভারতের বিএসএফের ডিজির কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজের অবস্থান তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন।
Next Post Previous Post